শিখো বাংলায়.কম: ক্রিসমাস হোক বা দিওয়ালি, যেকোনো অনৈসলামিক ও অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠানে মুসলমানদের জন্য উপস্থিত হওয়া, তাদের জলসা ও সমাবেশে মুসলমানদের অংশগ্রহণ করা অথবা তাদের উপাসনাস্থলে যাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।
বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক স্কলার বরেণ্য আলেমে দ্বীন মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানি বলেন, ক্রিসমাস একটি একান্তই খ্রিস্টানদের যিশুর জন্মকে কেন্দ্র করে একটি অনুষ্ঠান। মুসলমানদের এগুলিতে অংশগ্রহণ করা অন্যায়।’
ইসলামের বিধান হচ্ছে, এধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে মুসলমানরা অমুসলিমদেরকে তাদের অনুষ্ঠানকে সম্মান জানাতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা এবং তাদেরকে উপহার দেওয়া নাজায়েয।
মুফতিয়ানে কেরাম পরিষ্কার বলেছেন, এধরনের অনুষ্ঠানে অমুসলিমদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর দ্বারা যদি তাদের ধর্মকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা উদ্দেশ্য হয় তাহলে এতে কুফরের আশংকা রয়েছে। কোনো কোনো মাশায়েখ তো এধরনের ব্যক্তিকে কাফের বলেছেন।
অতএব মুসলমানদের কর্তব্য হলো, ক্রিসমাস ইত্যাদিতে খ্রিস্টানদের সঙ্গে একাত্মতা বা ভালোবাসার উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবে। তা না হয় কঠিন গুনাহ হবে। তাতে কুফরেরও আশংকা রয়েছে।

(সূত্র: সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৩১; আসসুনানুল কুবরা, হাদীস ১৮৮৬২; ১৫৫৬৩; ফতোয়ায়ে দারুল উলূম করাচি, ফতোয়া নম্বর ২৯/১৬৯৩, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/১৮০-১৯৩)