শিখো বাংলায়.কম: মাওলানা মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় আজকে লাইভে এসে কথা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের লাইভে তিনি বলেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. ইন্তেকাল করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ। আমি আল্লামা শফী রহ. এর ভক্ত, মুরিদ, তিনি আমাকে আধ্যাত্মিকতার লাইনে মেহনত করার অনুমতিও দিয়েছেন, খিলাফত দিয়েছেন। সারা দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যুতে আমরাও অনেক বেশি আহত ও শোকাহত।
আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর মৃত্যুর পর এমন একটা গুঞ্জন শুনতে পাচ্ছিলাম। যে মহলটি হজরতে মৃত্যুর আগে তার ইমেজ ও ব্যক্তি সম্মানকে পূজি করে স্বার্থ হাসিলে লিপ্ত ছিলো, তারা তার মৃত্যুর পরও তার সম্মান মর্যাদাকে পুজি করে তাদের স্বার্থ হাসিলের বিপদজনক পথ থেকে ফিরে আসেনি। বরং তারা বিস্ময়করভাবে তারা তার পরিবারের প্রধান অভিভাবক হজরতের বড় সন্তান তার মৃত্যুকে সাভাবিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি তিনি যে মাদরাসায় দীর্ঘদিন ছিলেন,মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জাতির সামনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ আজ সেই স্বার্থান্বেষী মহল মৃত্যুর এত দিন পর দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমি বিস্মত হলাম এ কথা জেনে যে, আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর হত্যা মামলায় ৩৬ জনের মধ্যে আমার নামও রাখা হয়েছে। অথচ আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর মৃত্যুর আগে তার পাশে কিংবা কাছাকাছি কোথাও ছিলাম না। তারপরও কেনো তারা আমার নামটি সেখানে অন্তর্ভূক্ত করলো, এর মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য জাতির কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আসলে তারা আমাকে আক্রমণ করে গায়েল করতে চায়, এর মাধ্যমে জাতির সামনে তাদের আসল পরিচয় ফুটে ওঠেছে।
আমরা দ্যার্তহীনভাবে বলতে চাই আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর মৃত্যু নিয়ে তাদের এ খেলা এদেশের মানুষ কখনো সহ্য করবে না, মেনে নিবে না। আমরা এ মামলা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা পাবেন না। তারা আক্রমণ করে আমার মানহানি করেছে। আমি এ মামলার পর আইনজিবিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো ইনশাআল্লাহ। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে এ মিথ্যা মালাটি খারিজ করে দিবে বলে আমি আশা করি।

