শিখোবাংলায়.কম: ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গবাদি পশুর মাংস রফতানিকারক দেশ। বিজেপির নীতি যদি গরু ও মহিষ জবাই নিষিদ্ধ হয় তবে তাদের প্রথমে গরুর গোশত রফতানি নিষিদ্ধ করা উচিত। রাজ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গরু জবাই নিষিদ্ধ করা এবং অন্যদিকে, গরুর মাংস রফতানিকে উৎসাহিত করা হল ভণ্ডামি।’
এ মন্তব্য করেছে গোয়া কংগ্রেস। গতকাল (শুক্রবার) দলটির পক্ষ থেকে ওই মন্তব্য করা হয়েছে।
বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেইসব রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করতে চাইলে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ সরকারকে গরুর গোশত রফতানি নিষিদ্ধ করা উচিত বলেছেন তারা।
পানাজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ট্রেজানো ডি’ মেলো বলেন, কর্ণাটক রাজ্য বিধানসভায় গরু জবাই নিষিদ্ধের একটি কঠোর আইন পাশের পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরি গোয়ায় গরুর গোশত সরবরাহ কমে যাবে।
কর্ণাটক থেকে গোয়ার জন্য গরুর গোশত সরবরাহ করা হয়। রাজ্যটিতে জীবিত গবাদি পশু জবাইয়ের পরে তার গোশত গোয়ায় আমদানি করা হয়।

রাজ্যের গরুর মাংস বিক্রেতারা ইতোমধ্যে কর্ণাটকের নতুন আইন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, এরফলে উপকূলীয় রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং এখানে এটি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আরও বলেন, বিশেষত ক্রিসমাসের মরসুমে তাদের বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ এই সময়ে পর্যটকদের কাছে লাল মাংসের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
ডি’ মেলো বলেন, ক্ষমতাসীন দলের বেশিরভাগ বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা গরুর গোশত খান। তারা কী রাজ্যের বাজারে গরুর গোশত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কে শুনতে পাচ্ছেন? ৪০ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় ২৭ বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ১৫ জনই ক্যাথলিক।
গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সারদেসাই কর্ণাটকে পাশ হওয়া নয়া আইনকে সামনে রেখে আসন্ন উৎসবে গরুর গোশতের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিককর ২০১৭ সালে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি রাজ্য বিধানসভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি যেকোনও মূল্যে গোয়ায় গরুর গোশতের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। বিজেপি’র বিভাজনমূলক রাজনীতির উপরে ভিত্তি করে একটি ভোট ব্যাংক তৈরি করতে মোড় ঘোরানো প্রয়োজন। সেজন্য ওই ঘোষণা বড়দিনের ঠিক আগে করা হল।
সরকার যদি ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে উৎসবের সময়ে আমাদের কাছে গরুর গোশতের ঘাটতি দেখা দেবে বলেও গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেসাই মন্তব্য করেন।