মুফতি মাসউদুর রহমান ওবাইদী
কোরআনের চ্যালেঞ্জ এবং আলট্রাস্নোর মাধ্যমে গর্ভে সন্তান নির্ণয়
প্রশ্নঃ কোরআন শরীফের সূরা লোকমানের শেষ আয়াতে আছে নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে তিনি তা জানেন, কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ সর্ব বিষয়ে খবরদার৷ এই আয়াতে বলা হয়েছে গর্ভাশয়ে যা থাকে তা একমাত্র আল্লাহ পাকই জানেন৷ অর্থাৎ আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কেউ জানেন না৷ কিন্তু বর্তমান যুগে আমরা জানি যে কোন মেয়ে লোক গর্ভবতী হলে ডাক্তাররা আলট্রাস্নো পরীক্ষার মাধ্যমে তার গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা বলে দিতে পারে৷ সুতরাং উপরোক্ত আয়াতের সঠিক তাফসীর বর্ণনা করে বিষয়টি সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি৷
উত্তরঃ গায়েব বলা হয় প্রত্যেক ওই বস্তুকে, যা পঞ্চন্দ্রিয় দ্বারা সরাসরি উপলব্ধি করা যায় না৷ আর ইলমে গায়েব বলা হয় কোন মাধ্যম ব্যবহার করা ব্যতীরেকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্ভুলভাবে কোন বিষয় জানা৷ এ ইলম একমাত্র মহান আল্লাহরই রয়েছে৷ অন্য কোন মাখলুক ইলমে গায়েবের অধিকারী নয়৷ সুতরাং আলট্রাস্নোগ্রামে বা অন্য কোন পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভাশয়ে ছেলে না মেয়ে, জেনে নেওয়া গায়ের জানার আওতায় পড়ে না৷
কেননা তা মাধ্যম ব্যবহার করে জানা হয়েছে৷ অতএব উক্ত আয়াতের অর্থ হলো, মহান আল্লাহপাক গর্ভাশয়ে কি আছে কোন মাধ্যম অবলম্বন করা ছাড়া সরাসরি নির্ভুলভাবে জানেন, যা অন্য কোন লোকের ক্ষমতায় নেই৷ এছাড়া শুধু গর্ভে ছেলে না মেয়ে তাই জানার কথা বলেনিন, বরং এতে ছেলে না মেয়ে, ভালো না খারাপ, সৌভাগ্যবান’ না দুর্ভাগা, জান্নাতি না জাহান্নামি ইত্যাদি সকল অবস্থায় উদ্দেশ্য৷

দলিল ঃ সহীহ বুখারি হাদিস নং(318)
আহকামুল কুরআন লিল জাসছাসঃ3/517( কদিম কুতুবখানা)
তাফসীরে রুহুল মাআনীঃ 11/141( দারুল হাদিস)
মাওয়াহিবুল রহমানঃ 6/108( রশিদিয়া)৷