প্রশ্ন: আমি পশু খরিদ করার জন্য একদিন হাটে যাই। অসতর্কতাবশত একটি গরুর পায়ের নিচে পা পড়ে আমার পায়ের অগ্রভাগ মারাত্মক যখম হয়। ডাক্তার ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন এবং ব্যান্ডেজ খুলতে ও পানি লাগাতে নিষেধ করেছেন। এ অবস্থায় আমি কীভাবে অযু করব?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিক নিয়মেই অযু করবেন। তবে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করবেন। আর উক্ত পায়ের অবশিষ্টাংশ ধৌত করা সম্ভব হলে তা ধুয়ে নিবেন। তবে যদি পায়ের অবশিষ্টাংশ ধৌত করতে গেলে ব্যান্ডেজ ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে খালি অংশও না ধুয়ে পুরো পা মাসাহ করে নিবেন।
-সুনানে বায়হাকী ১/২২৮; কিতাবুল আছল ১/৪২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৫; শরহুল মুনইয়াহ ১১৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯০; রদ্দুল মুহতার ১/২৭৮
প্রশ্ন: আমি একজন রাজমিস্ত্রি। কয়েকদিন আগে নির্মাণ কাজ করার সময় ইটের চাপ লেগে আমার বাম হাতে গুরুতর জখম হয়। ডাক্তার ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিয়েছেন। আমি ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করে নামায পড়ি। তবে ডাক্তার বলেছেন, এক সপ্তাহ পর থেকে দিনে দুইবার ড্রেসিং করে নতুন ব্যান্ডেজ লাগাতে হবে। জানার বিষয় হল, ড্রেসিং করে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে কি অযু নষ্ট হয়ে যাবে?
উত্তর: ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করার পর তা খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগানোর কারণে অযু বা মাসাহ নষ্ট হয় না। অবশ্য এই নতুন ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করে নেওয়া উত্তম। তবে যদি ড্রেসিং করার সময় ক্ষতস্থান থেকে গড়িয়ে পড়া পরিমাণ রক্ত বা পুঁজ বের হয় তাহলে অযু ভেঙে যাবে। আর ক্ষত ভাল হওয়ার পর ব্যান্ডেজ খোলা হলে মাসাহ বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু অযু নষ্ট হয় না। এক্ষেত্রে শুধু মাসাহের স্থান ধুয়ে নিলেই পূর্বের অযু বহাল থাকবে।

প্রশ্ন: গাড়ি দুর্ঘটনায় আমার বাম হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত ক্ষত হয়। ডাক্তার ক্ষত অংশটুকুসহ আরো কিছু অংশ ব্যান্ডেজ করে দেন। কনুই পর্যন্ত বাকি অংশ খোলা আছে। অযুর সময় ব্যান্ডেজটি খুলে ক্ষত স্থানের আশপাশ ধৌত করাও বেশ কষ্টকর। অযুর সময় আমার করণীয় কী?
উত্তর: এধরনের ক্ষেত্রে অযু-গোসলের নিয়ম হল, ব্যান্ডেজকৃত অংশের উপর মাসেহ করা। অর্থাৎ ভেজা হাত দিয়ে পুরো ব্যান্ডেজের উপর মুছে দেওয়া। ভালো অংশের ব্যান্ডেজের উপরও মাসেহ করবে। তা খোলার প্রয়োজন নেই। আর ঐ হাতের অবশিষ্ট খোলা অংশ ধৌত করবে। -সুনানে আবু দাউদ ৪৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫০